করিম বেনজেমা (মাদ্রিদ ইতিহাসের সব থেকে ঘৃনিত ব্যক্তির নাম)
স্কুল থাকাকালীন আমার এক বন্ধু ছিল একটু দুষ্ট টাইপ। তো বন্ধুটির সম্পর্কে অভিভাবকদের বক্তব্য ছিল, ওর সাথে থাকলে আপনি খারাপ হতে বাধ্য। তার উপর আরো নানা রকমের বদনাম তো ছিল। কিন্তু মজার ব্যাপার হল, আমার এই বন্ধুটিই পরীক্ষার সময় সব থেকে ভাল ফলাফল করত । স্কুলে সবারই কম বেশি এমন বন্ধু আছে। যাকে দেখে মনে হবে দুষ্ট গরু কিন্তু সেই অন্যান্যদের ভাল হওয়ার প্রভাবক হিসেবে কাজ করে।
মাদ্রিদ দলে বেনজেমার অবস্থাও এমন। মাদ্রিদের ইতিহাসে সব থেকে ঘৃণিত ব্যক্তির নাম নেওয়া হলে সবার উপরে যে নাম উঠে আসবে তা হল বেনজেমা। হাতে গুনে বলে দেওয়া যাবে কয়টা মাদ্রিদস্তা তাকে পছন্দ করে। মাদ্রিদের ইতিহাসে আগে কিংবা অদূর ভবিষ্যতে এতটা বিরাগভাজন আদৌ কোন প্লেয়ার হতে পারবে কিনা আমার জানা নেই। কোন মাদ্রিদস্তাই তাকে নিয়ে লিখতে ইচ্ছুক না কিংবা পারতপক্ষে পারলে এভয়েড করে। আর তার ব্যাপারে কেন যেন কোন যুক্তিই খাটে না। তাই সব কিছু চিনতে করে দেখলাম ঈদের দিন সবার মন মেজাজ ভাল থাকবে । এমনই দিনে লেখা যায় তাকে নিয়ে। অন্যদিনে লিখলে বেশি গালিগালাজ খাওয়ার সম্ভবনা আছে । তবে আজকে ঈদের দিনে তুলনামূলক কম খাওয়া হবে। :D
বেনজেমার ট্যাকটিক্যাল প্রোফাইলে যাওয়ার আগে আমরা দেখে আসি রোনালদোর ক্যারিয়ারে বেনজেমার প্রভাব কতটুকু। আমি জানি, আপনারা স্ট্যাটে আগ্রহ না। তবে পরিসংখ্যান একটা ধারনা দেয়, মাঠে আপনার প্রভাব কতটুকু। যে সব প্লেয়ারদের পরিসংখ্যান দিয়ে মাপা যায় না বলি তাদের ও কিন্তু স্ট্যাট থাকে একটা যেমন ড্রিবলিং , কী পাস, বল হোল্ডিং। তাই পরিসংখ্যানকে উপেক্ষা করা পুরোপুরি কারো পক্ষেই সম্ভব না। কিন্তু যদি আপনি নির্দিষ্ট কিছু ফিচারের পরিসংখ্যান চান তাহলে একটা প্লেয়ারকে সম্পূর্ন বোঝা সম্ভব না। ফুটবলে গোলটা যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনি সেই গোলের জন্য স্পেস তৈরী করাটাও কম গুরুত্বপূর্ন না। হা আমি “স্পেস থিউরি” নিয়ে কথা বলছি। এখনোই হতাশ হোয়ার কিছু নেই। সামনে যায় । দেখা যাক নতুন কিছু দেওয়া যায় কিনা।
আমরা দেখব, একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে রোনালদো বেনজেমা থাকাকালীন অবস্থায় কতটা স্পেস এক্সপ্লয়েট করতে পারত আবার বেনজেমা না থাকা অবস্থায় কতটা ।
ভাল ভাবে স্ট্যাট টা লক্ষ্য করুন, দেখা যাচ্ছে রোনালদোর পার ম্যাচ শট নেওয়ার জন্য কোন পার্টনারের তেমন কোন ভুমিকা নেই। বেনজেমা থাকাকালীন ম্যাচে ৪৮ টা শট নিলেও , বেনজেমাবিহীন ম্যাচে ৪৬ তেমন কোন পার্থক্য নেই। কারণ রোনালদোর একুরেসি রেইট ভাল। কিন্তু লক্ষ্য করুন অন টার্গেট আর অফ টার্গেটের দিকে। বেনজেমাবিহীন ম্যাচে ৬৭% শত অফ টার্গেট কিন্তু বেঞ্জেমা থাকাকালীন ম্যাচে তা নেমে আসে ৫০% এ। মানে হল রোনালদোর শটের ১৭% অন/ অফ হবে কিনা তা নির্ভর করে বেনজেমা ম্যাচে আছে কিনা তার উপর। আর এই ১৭% শট তখন কই যায়? হ্যা গ্রাফ দেখুন ওই ১৭% শট গুলো অন টার্গেটে আসে। প্রাচীন প্রবাদ আছে, আপনি অন টার্গেটে বেশি শট রাখতে পারলে আপনার গোলের সম্ভবনাও বাড়বে। পরিসংখ্যান ও তাই বলে, বেনজেমা বিহীন ম্যাচে রোনালদো অলমোস্ট ৪ টা করে শট লাগে ১টা গোল দিতে । আর বেনজেমা থাকাকালীন ম্যাচে তা নেমে আসে ৩টা শটে। প্রশ্ন জাগতে পারে কেন এমন হয়, বেনজেমা এমন কি করে ম্যাচে যে, এত বড় পারফরম্যান্সের ডিকলাইন হয়? উত্তর পাবেন সামনে। তার আগে আরো কিছু স্ট্যাট দেখে আসি।
দেখুন স্ট্যাটে বেনজেমার প্রভাব কতখানি । রোনালদো তার মাদ্রিদের ক্যারিয়ারে বেশির ভাগ ৬৩% গোলই দিয়েছে ওপেন প্লেতে । আর এর ৪০% গোলে ডিরেক্ট কন্ট্রিবিউশন হচ্ছে বেনজেমার। রোনালদো মাদ্রিদে সব সময় ফার্স্ট লাইন এটাকে অভ্যস্ত। বেনজেমা থাকলে তার হোল্ড প্লে আর ডিফেন্ডারদের এট্রাক্ট করা স্বভাবের জন্য রোনালদো সব সময় বিপদজনক অবস্থায় নিজেকে খুজে পাই। কিন্তু বেনজেমা না থাকলে ডিফেন্ডারদের ডিরেক্ট টার্গেট থাকে রনের উপর। আর মাদ্রিদের ফার্স্ট লাইন এটাক যেহেতু সে তাই অনেক প্রেডিক্টবল হয়ে যায় মাদ্রিদ। স্ট্যাট ও তাই দেখাচ্ছে। প্রায় দ্বিগুণ বেশি ওপেন প্লে করতে পারে মাদ্রিদ যখন মাঠে বেনজেমা থাকে ।
বোঝার সুবিধার্থে আরো একটা স্ট্যাট দি। রোনালদোর সাথে মোরাটার । আর রোনালদোর সাথে বেনজেমার।
মোরাটার হিট্ম্যাপঃ
মোরাটা থাকাকালী রোনালদোর হিট্ম্যাপঃ
হুবুহু সিমিলার তাই না? হা বাস্তবিক অর্থে তাই। কারণ মোরাটা পারফেক্ট নাম্বার ৯। যে কিনা তার স্পেস অন্য কারো সাথে শেয়ার করতে ইচ্ছুক না। আবার রোনালদো হচ্ছে মাদ্রিদের প্রথম লাইন এটাক। সো তারা দুইজনে সেইম স্পেস কভার করে এতে যেইটা হয় মাঠে সমান সংখ্যক প্লেয়ার থাকলেও বাস্তবে একজন কম প্লেয়ার নিয়ে খেলছেন কারন মাঠের সব স্পেস আপনি কভার করতে পারছেন না। এইবার দেখে আসি বেনজেমা থাকাকালীন রোনালদোর হিট্ম্যাপ এবং বেনজেমার হিট্ম্যাপ।
বেনজেমার হিট্ম্যাপঃ
দেখুন, রোনালদোর ফেলে আসা লেফট উইং এ সে কিভাবে স্পেস কভার দিচ্ছে। পাশপাশি চেক দ্যা ওয়ার্করেট। সে ফাইনাল থার্ডের সব স্পেস কভার করছে যেখানে মোরাটা এবং রোনালদো দুইজনেই কভার করছিল সেন্ট্রাল স্পেস। এইটাই হল বেনজেমা থাকাকালীন মাদ্রিদ আর না থাকাকালীন মাদ্রিদের পার্থক্য।
এইতো গেল রোনালদোর গোল স্কোরিং ক্যারিয়ারে বেনজেমার প্রভাব কতটুকু। এইবার আসি মাদ্রিদের স্টাইলে সে কতটা গুরুত্বপুর্ণ।
পেলেগ্রনি থাকাকালীন সময় বেনজেমাকে মাদ্রিদে আনা হয়। আর বলতে গেলে এক প্রকার তখন থেকেই মাদ্রিদ দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য বেনজেমা। মাদ্রিদ যে “মেরেনগেজ” (এইটা আমাদের নিক নেইম।) কাউন্টার এটাক করে এর ফোকাল পয়েন্ট থাকে বেনজেমা। এর আক্রণ হল তার বুদ্ধিমত্তা। মাদ্রিদ দলের ১১ জন প্লেয়ারের সব থেকে ট্যাকটিক্যালি বুদ্ধিমান হল বেনজেমা। একটা কাউন্টার আক্রমণ তখনই সফল হয় যখন আপনার ফোকাল পয়েন্টে থাকা প্লেয়ারটি ঠিকভাবে বুঝতে সক্ষম হয় কখন কোন পজিশনে কাউন্তার এতাক করবেন। ফোকাল পয়েন্টে থাকা প্লেয়ারটি .০৫ সেকেন্ডের মত বল হোল্ড করার সময় পাই। এর আগে আপনি মুভ করলে দেখা যাবে আপনার দল রিগ্রুপ হতে পারে নি। অথবা প্রতিপক্ষ বল ইন্টারসেপ্ট করবে আর এর বেশিক্ষণ রাখলে প্রতিপক্ষ রিগ্রুপ হবে। অর্থ আপনার কাউন্টার এটাক ভেস্তে যাবে। তারমানে .০৫ সেকেন্ড আপনাকে বল হোল্ড করতে হবে এবং পুরো পাসিং কম্বিনেশটা ইমাজিন করে নিতে হবে। আর এই সব কাজেই বেনজেমার সমতুল্য কেউ নেই । সে জানে কখন বল ছাড়তে হবে আর কখন বল হোল্ড করতে হবে। তাই মাদ্রিদের কাউন্টার বেসড সিস্টেমে সে সব সময় গুরুত্বপুর্ণ ছিল ।
আমরা তার স্লো মুভমেন্টকে অলসতা বলে থাকি তবে তার এই স্লো মুভমেন্ট তার ট্যাকটিক্যাল পার্টের একটা বড় অংশ । তার স্লো মুভমেন্টের কারনে সে সবসময় ডিফেন্ডারদের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে । শুরু তাই না সে সব সময় তার মার্ক কৃত ডিফেন্ডারদের বারবার ভুল করতে বাধ্য করে। তার স্লো মুভমেন্ট এবং মাঠের অবস্থান বার বার মাদ্রিদকে ওপেন প্লেতে সাহায্য করে। পাশাপাশি তার নিজের স্টামিনাও সে ধরে রাখতে পারে। বেনজেমা ৯০ মিনিট পর্যন্ত আপনাকে প্রেস করার সামর্থ্য রাখে। আমাদের প্রেসিং সিস্টেমের জন্য সে অনেক গুরুত্বপুর্ণ প্লেয়ার। সে প্রতিপক্ষের কী প্লেয়ারদের পাসিং লাইন ব্লক করে।পাশাপাশি মাঝে মাঝে সে ডিফেন্সিভ ওয়ার্করেইট ও দেখায়।
বেনজেমার সব থেকে বড় গুণ হল টাইট সিচুয়েশন কিংবা প্রেশারে সে সব থেকে ভাল আউটপুট দেয়। বেনজেমাকে সহজে আউটনাম্বার করা যায় না তার হোল্ড প্লে কিংবা ড্রিবলিং এর জন্য। ৩ বনাম ১ সিচুয়েশনে সে আপনাকে সঠিক পাস দিবে। He is that much good in tight situation.
খেয়াল করলে দেখবেন , বেনজেমাকে সহজে কোন ডিফেন্ডার প্রেস করতে যায় না। তাকে স্পেস লিভ দেয়। অনেকে বলে থাকে, এর কারন সে গোল দিতে পারে না এই জন্য। বাস্তবিকভাবে চিন্তা করলে, তার হোল্ড প্লে নেচারের কারণে তাকে প্রেস করা কিংবা ফলো করাটাই বোকামী।
এই ছবিতে দেখুন, খেলা বিল্ড করার জন্য বেনজেমা একদম ডান প্রান্তে এসে গিয়েছে। আর তাকে প্রেস করতে ডিফেন্ডার উঠে আসায় রনের জন্য কত বড় স্পেস পড়ে আছে সামনে । সেন্ট্রালে কেউ নেই বর্তমানে কিন্তু বল এটাকিং প্রান্তে রন যে কোন সময় ইনসাইড রান দিতে পারে আর তার রান মার্ক করার মত বর্তমানে ওই সিচুয়েশনে কেউ না। কারণ রনের অবস্থান দুই ডিফেন্ডারের ব্লাইন্ড সাইডে। আর বেনজেমার পজিশনের জন্য ডিফেন্ডার বাধ্য তাকে ফলো করতে ।
আমরা বেনজেমাকে স্টাইকার হিসেবে চিন্তা করলেও তারা খেলার স্টাইল কিংবা সে নিজেকে প্লেমেকার হিসেবে দাবি করে।
এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, রন এখন নাম্বার ৯ পজিশনে এবং বেনজেমা পারফেক্ট ১০ পজিশনে। ম্যাচে খেয়াল করলে দেখা যাবে বেনজেমা এই স্পেস এরিয়াটা খুবই পছন্দ করে। বেশিরভাগ সময় সে এই স্পেসেই ঘুরাঘুরি করে। আর এতে সুবিধে হয় তার নিজের ও । সে ওয়ান টাচ ফুটবল কিংবা ওয়ান টু ওয়ান খেলতে পছন্দ করে। তাই তার হাতে দুইটা অপশনই খোলা থাকে। পাশাপাশি মাদ্রিদের বাকী প্লেয়ারদের জন্য ও কাজটা সহজ হয়ে যায়। তারা অতিরিক্ত একটা পাসিং অপশন পাই মিডে বল পজেশন ধরে রাখার জন্য। এই জন্য মাদ্রিদের সব প্লেয়ারদের কম বেশি বলতে শুনবেন, যখন বেনজেমা খেলে তারা কমফরটেবল ফিল করে। খেলাতেও এর প্রমাণ পাওয়া যায়।
এইবার দেখে আসি তার ডিফেন্সিভ স্কিল। আমি শুধু এতটুকু বলব বুসকেটস থেকে সাধারণত কেউ বল কেড়ে নিতে পারে না। তবে এই কাজটি বেশি করতে পেরেছে বেনজেমা।
দেখুন মাদ্রিদের ডিফেন্সিভ লাইনে থেকে সে বল কেড়ে নিচ্ছে বার্সার সব থেকে বেস্ট বল হোল্ডার থেকে। সমস্যা হল এই কাজতি সে সব সময় করে না। ম্যাচে শুধুমাত্র ৩-৪ বার দেখবেন এই কাজটি করতে । কারণ সে হঠাৎ চমকে দিতে পছন্দ করে প্রতিপক্ষকে। আর এই কারণেই কিন্তু যখন সে উইন করে বেশির ভাগ সময় সে জিততে
মিডে দেখুন বেঞ্জু রান দিয়েছে যখন বুসকেটস পাস দেওয়ার জন্য রেডি। মাঠে সবাই রিলাক্স পজিশনে। এমতাবস্থায় বুসকেটসের কোন বোঝার উপায় নেই যে, পিছন থেকে এসে বেঞ্জু বল নিয়ে যাবে। কারন বেজ্রু পজিশন একদম তার ব্লাইন্ড সাইডে। অবস্থাটা বিপদজনক না হলেও বেঞ্জু এই জায়গায় বল উইন করলেই ওপেন প্লে হয়ে যাবে। আর এইজন্য মাদ্রিদের সব কোচেরই ফেভারিট প্লেয়ার ছিল বেনজু। কোন কোচই তার সামর্থ্য গত দশ বছরে প্রশ্ন তুলেনি।
এইবার দেখে আসি মাদ্রিদে তার কিছু অর্জন নিয়ে।
- উচলে ২০ টা এসিস্ট করে ৬ নাম্বারে আছে তিনি তার আগে থাকা ওজিল ইব্রা দের হল ২২টি ।আশা করা যায় এই সিজনে টপ থ্রি অল টাইম এসিস্টে নাম লেখাবেন বেনজেমা।
- লা লিগায় ৬৬ টা এসিস্ট করে লা লিগার ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ এসিস্টের খাতায় নাম আছে বেনজেমার।
- লা লিগাতে ১২৭ টা গোল করে ইতিহাসে চতুর্থ সর্বোচ্চ স্কোরার সে। সুযোগ আছে এই সিজনেই মেসি রোনালদোর পর তার নাম লিখার। আর এইজন্য লাগবে ১১ টি গোল।
- ৫৬টা গোল করে উচলে টপ৪ এ আছে আমাদের বেনজেমা।
- এত গোলের মধ্যে শুমাত্র ২টা তার পেনাল্টিতে যেইটা নিজেই একটা রেকর্ড।
- ক্যারিয়ারে মাত্র ৬ টা হলুদ কার্ড প্রমান করে সে কতটা ঠান্ডা মাথায় খেলে।
- মাদ্রিদের হয়ে দুইটা লা লিগা ৪ টা উচল দুইটা কোপা দেল রে জিতেছেন আমাদের বেনজেমা।
- ক্যারিয়ারে সর্বোচ্চ গোলদাতা না হলেও হয়েছিলেন উচলে টপ এসিস্ট প্রোভাইডার ২০১১-১২ তে ।
- এল ক্ল্যাসিকোতে সব থেকে দ্রুততম গোল করার রেকর্ড ও তার । মাত্র ২১ সেকেন্ডে।
এই ছাড়া তার আরো অনেক ছোট বড় রেকর্ড আছে যা তা বাজে গোল মিসের কারণে সবার লজরে আসে না। তার সব থেকে যে জিনিসটা আমার ভাল লাগে তা হল আত্মবিশ্বাস। নিজেদের মাঠে ব্যু খাওয়ার পরেও মাদ্রিদের অন্যান্য প্লেয়ারদের তুলনায় হোম রেকর্ড ঈর্ষনীয়। পাশাপাশি তার খেলা দেখে কখনোই মনে হবে না সে তার গোল স্কোরিং কিংবা অন্য কিছু নিয়ে টেনশন কাজ করে। খুবই ফ্লুয়েড খেলা দেয় ৬ ইয়ার্ডের বাইরে :p আর সব থেকে বড় কথা টিমপ্লেয়ার। যে নিজেকে টিমের জন্য পুরোপুরি স্যাক্রিফাইস করেছে। প্রবাদ আছে যারা স্যাক্রিফাইস করে তাদের প্রতি মানুষের সহানুভুতি কাজ করে ভালবাসাটা না। বেনজেমার উপর মাদ্রিদস্তাদের ব্যাপারটাও এমন। হাতে গুনে বলে দেওয়া যায় কতজন তাকে পছন্দ করে।
সব শেষে ফুটবল জার্নালিস্ট ANDY BRASSELL এর বেনজেমা সম্পর্কিত একটা লাইন দিয়েই শেষ করি,
Benzema and Ronaldo are evry much package at the bernabeu, something that former coach carlo mentioned ‘A PERFECT DUO’ It’s nothing new to suggest. Benzema allows ‘Ronaldo to shine and score’. However, it reminds us something. The lyon born striker values is to the collective rather than individual. “
অর্থ হল, আপনি তার মধ্যে এমন কিছু পাবেন না যে একা ম্যাচ পরিবর্তন করে দিবে কিন্তু তার উপস্থিতি দলের বাকী সদস্যদের ম্যাচ পরিবর্তিত করতে সাহায্য করবে। পুরনো কথাই জার্নালিস্ট বলল আর কি । সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা। করিম ভাইকেও :D